সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ হতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দ প্রনয়নের লক্ষে প্রতিটি জেলা থেকে তালিকা প্রেরণের জন্য নির্দেশনা করা হয়। এতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, দূর্গম এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠান ও দীর্ঘদিন উন্নয়ন বঞ্চিত প্রতিষ্ঠান গুলোকে অগ্রাধিকার দেবার কথা বলা থাকলেও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুর সেই নিয়মের তোয়াক্কা করছে না।.
.
.
সরেজমিনে কয়েকটি এলাকায় গিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সবুজ মজুমদার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক। একজন বলেছেন,"সবুজ মজুমদার আমার প্রতিষ্ঠানে মেরামত ও সংস্কার তালিকায় নাম পাঠানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে। অথচ আমার প্রতিষ্ঠান বন্যায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। "বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যায় ভাবে টাকা নিয়ে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ভবনের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর উপজেলায় অবস্থিত আরেকটি প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক জানান,"উনার এই দুর্নীতি নতুন কিছু নয়।উনি বিগত সরকারের আমলে সরকারের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন।.
.
.
আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।.
.
এ বিষয়ে সবুজ মজুমদার বলেন, আমাদের এধরনের কোন প্রকল্প নেই। টাকা চাওয়ার কোন প্রশ্ন-ই আসে না। তবে কেউ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে।.
ডে-নাইট-নিউজ / লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন: